রুকইয়াহ অনলাইন বিডি.কম

বদ নযর, জিনে ধরা, বোবায় ধরা, ওয়াসওয়াসা, পরকীয়া সমস্যা, হস্ত মৈথুন ইত্যাদিসহ বিভন্নি রোগ-বালাইয়ের সমস্যার সমাধানের জন্য “রুকিয়া শরঈয়্যাহ” (কোরআনী চিকিৎসা) ব্যবহার করে দেখুন।

রুকইয়াহ'র মাধ্যমে উপকার পেতে কিছু মৌলিক কথা



বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
সুস্থ শরীর আর সুন্দর জীবন সকলের পরম চাওয়া-পাওয়া। কিন্তু কিছু আনুসাঙ্গিকতা আছে যা এই সুন্দর জীবনকে করে দেয় পরাজিত ও অসহায় আর সুস্থ সাস্থ্যকে করে দেয় রুগ্ন ও দুর্বিষহ।
এই অসহায়ত্ব ও অসুস্থতার পিছনে অনেক কিছুই দায়ী থাকে। কিছু তো স্বয়ং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেই পরীক্ষাস্বরূপ নাযিল হয়ে থাকে। আর অধিকাংশই হয় আমাদের মানব সমাজের অনাচারের কারণে। কেউ তো নিজের অনাচার নিজেই করে থাকে। আর কারো উপর অনাচার হয়ে থাকে অন্য মানুষের হাতে। এসব দিগ্বিবেচনা করে মানুষের জীবন অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রাণ ও রুগ্ন সাস্থ্যকে সুস্থ করার জন্য বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
মানুষের জনজীবন যাতে সুখের হতে পারে এবং সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাতে সকলেই লাভ করতে পারে সেই মানসে আমাদের এই প্রায়াস।
প্রথমে আমরা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত করার পিছনে কি কি বিষয় দায়ী হতে পারে তা নিয়ে আলচনা করবো।
একটি বিষয় লক্ষ্য রাখা একান্ত আবশ্যক যে, নিজেদের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক গতি যদি নিজেদের অনাচারের কারণে বাধাগ্রস্থ হয় তাহলে তার সমাধান নিজেরাই করতে হবে। এ জন্য অন্য কাউকে যেমন দায়ী করা যায় না তেমনি নিজেদের সেসব কু-অভ্যাস পরিহার না করলেও স্বাভাবিক জীবনের আশা করা যায় না।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন মানবজাতিকে সৃষ্টি করে তার তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হওয়ার পিছনে যেসব বিষয় দায়ী হতে পারে তার বিবরণ ও দিয়েছেন। যাতে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চিরকাল স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে এবং সুদীর্ঘকাল স্থায়ীত্ব লাভ করে। তবে এক্ষেত্রে যদি তিনি কাউকে পরীক্ষা করার জন্য কোন বিপদ-আপদ দেন তাহলে সেটা ভিন্ন বিষয়। তার জন্য কেউ দায়ী নয়। বরং সেটা সৌভাগ্যের বিষয়ও বটে। তাই আগে নিজেকে পরীক্ষার ময়দানে অবতীর্ণ করার মানসিকতা অবশ্যই থাকতে হবে।
যেসব বিষয় অবলম্বন করলে মানুষের জীবন স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে তার জন্য মৌলিক কিছু শর্ত এখানে তুলে ধরা হলো:
১। মানুষের স্বাভাবিক জীবন স্বাভাবিক থাকতে হলে তাকে প্রথমে মুসলমান হতে হবে।
২। শুধু কালিমা পড়লেই মুসলমান হওয়া যায় না। ইসলামের যাবতীয় অনুশাসন মেনে চললেই কেবল সুখের জীবন লাভ করা যেতে পারে।
৩। বিপদাপদ ও রোগ-বালাই থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দৈনন্দিন অনেক আমল আছে সেগুলো প্রতিনিয়ত করতে হবে।
৪। ইসলামী জীবনব্যবস্থা কায়েম থাকতে হবে। ইসলামী জীবনব্যবস্থা বাস্তবায়ন ব্যতীত মানুষের জনজীবন কোনভাবেই সুখময় হতে পারে না।
৫। আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করতে হবে যেন তিনি আমাদের জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক রাখেন।
৬। ধৈর্যধারন করতে হবে। সফলতা ধৈর্যের কন্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রমের পরেই অর্জিত হয়ে থাকে।
৭। হতাশা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। কোন সময়ই হতাশ হওয়া যাবে না।
৮। সমস্যা সমাধানের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯। যদি কোনভাবেই বিপদ-আপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া না যায় তাহলে সেটাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা মনে করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
১০। সর্বোপরি কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক চিকিৎসা ও রুকইয়াহ'র সাথে সাথে নিজের আমলকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে হবে এবং আমলের নিপুনতার বিষয়টিও যথেষ্ট লক্ষ্য রাখতে হবে।
তদুপরি কোন রোগবালাই বা বিপদআপদ দূর করতে আমরা আল্লাহর রাসূল স. এর সুন্নাত অনুপাতে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারি। দেখা যায় যে, সেগুলোর উপর আমল করলে যেমন অনেক বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তেমনি সুখী জীবনও লাভ করা যায়। পরবর্তী পর্বগুলোতে আমরা সেসব বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করার ইচ্ছা রাখি ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ উত্তম অভিভাবক।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করতে পারেন: ফেসবুক পেজে যান
আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন্ট হতে পারেন: গ্রুপে জয়েন হোন
আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা অন্যকাউকে দিয়ে সাহায্য করতে পারেন: Website
লিংক কপি করতে পারেন: https://ruqyahonlinebd.blogspot.com


কোন মন্তব্য নেই

konradlew থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.