রুকইয়াহ বনাম ওঁঝা-কবিরাজ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
রুকইয়াহ বনাম ওঁঝা-কবিরাজ:
আমরা যারা রুকইয়াহ সম্বন্ধে সামান্য ধারনা
রাখি তারাই সাধারণত রুকইয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করতে আগ্রহী হই। ধর্মের প্রতি যাদের
অনুরাগ যৎসামান্য তারা অনেকেই রুকইয়াহ করতে ইচ্ছুক হই না।
রোগ যেমন আল্লাহ তাআলা দেন শেফাও কিন্তু আল্লাহ
তাআলা দেন। রোগ যখন হয় তখন বিশ্বাস করি যে, এটা আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন কিন্তু যখন রোগমুক্তির
প্রচেষ্টা করি তখন অনেকেই আল্লাহর দেওয়ার বিধান অনুপাতে তার চিকিৎসা করি না।
কিছু রোগ তো এমন রয়েছে যার চিকিৎসা কোন ঔষধ
দিয়ে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আমাদের প্রবণতা হলো, আমরা একদিনেই সুস্থতা অর্জন করার জন্য
বিভিন্ন কবিরাজ ও ওঁজার দ্বারস্থ হই। যারা প্রায় চিকিৎসাই আল্লাহ তাআলার নাফরমানীর
উপর নির্ভর করে করে থাকে।
রোগ দাতা যদি আল্লাহ তাআলাকেই বিশ্বাস করি
তাহলে আল্লাহর তাআলার নাফরমানী করে কেন সেই রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে হবে। আল্লাহ তাআলার
নাফরমানী করে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন নিশ্চয়তা
আছে। আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলেই কেবল রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা যেতে পারে। আল্লাহ ইচ্ছা
করলে বিনা চিকিৎসায়ও রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে। আর আল্লাহ না চাইলে এই বিশ্বের সকল ডাক্তার-কবিরাজ-ওঁঝা
বেটে খাওয়াইলেও কোন কাজ হবে না।
কিন্তু আল্লাহর নাফরমানী করে শিফা অর্জন করলে
তার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
চিকিৎসা করা কোন ফরজ বিষয় নয় যে, রোগের চিকিৎসা
না করলে আল্লাহ তাআলার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু চিকিৎসা করলে সেটা সহীহ পদ্ধতিতে
ও আল্লাহ তাআলার অনুমোদিত পদ্ধতিতে হওয়া আবশ্যক। নতুবা আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে
হবে এজন্য যে, কেন আল্লাহ তাআলার নাফরমানী করা হলো?
তাই আমরা যেসব রোগ বা সমস্যার জন্য ওঁঝা বা
বেঁদেদের কাছে যাই তার আগে একটু ভাবার প্রয়োজন রয়েছে যে, আমি আল্লাহর নাফরমানীর পথে পা বাড়াচ্ছি না তো!!
এজন্য আমাদের পরামর্শ হলো, আপনি যদি চিকিৎসা
করান তাহলে এমন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করুন যার মধ্যে আল্লাহ তাআলার নাফরমানীর আশংকা নেই।
আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করুন। কোন কবিরাজের
এমন কোন তেলেসমতি নেই যে, সে রোগ ভালো হয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারে। যিনি রোগ দিয়েছেন
তিনি যে চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়েছেন সেটাই হবে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও নিরঙ্কুশ চিকিৎসা পদ্ধতি।
এজন্য পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে চিকিৎসা করাই সবেচয়ে উত্তম চিকিৎসা।
আপনি ধর্মের প্রতি অনুরাগী হোন। আল্লাহর বিধানের
প্রতি যত্নবান হোন। আল্লাহ দুনিয়া আখেরাতে সকল ধরনের কল্যাণ দান করবেন।
কোন মন্তব্য নেই